আনিস তপন: [২] সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

[৩] পরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

[৪] মন্ত্রিসভায় পেঁয়াজ নিয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আলাদাভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। 

[৫] সচিব বলেন, মাঠ পর্যায়ে এখন ক্লোজ মনিটরিং হচ্ছে এবং আজকে(সোমবার) তার কিছুটা ইম্প্যাক্ট পাওয়া যাচ্ছে। ফলে গতকাল (রোববার) যে ট্রেন্ড ছিল আজ(সোমবার) সেই ট্রেন্ড নাই।

[৬] নির্দেশনাটিতে সুনির্দিষ্টভাবে কি ছিল? জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকার মাঠ পর্যায়ে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে। যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের দিকে নজরদারি বাড়ানো এবং যারা অতিরিক্ত মুনাফা করার চেষ্টা করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকেই মাঠপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দল কাজ শুরু করেছে।

 [৭] এই নির্দেশনা কি মন্ত্রিসভার আলোচ্য বিষয় ছিল না। এটা সাধারণ প্রশাসনিক ব্যাপার। যখন কোন সমস্যা তৈরি হয় তখন ওই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আলোচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। 

[৮] মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্রবন্দরে জেটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি এজন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করতেও বলেছেন তিনি।

[৯] এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘সামুদ্রিক পর্যটন নীতিমালা-২০২৩’র খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে জানিয়ে সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরকে ভিত্তি করে একটি ট্যুরিজম ইকোনমি তৈরি করতে এটা সহায়ক হবে।

[১০] দেশে এই প্রথম এধরণের নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বঙ্গোপসাগরকে ভিত্তি করে যাতে ট্যুরিজম ইকোনমি তৈরি করা যায় সেজন্য সরকার কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, কোন কোন এরিয়ায় কাজ করা হবে তার একটি কার্যক্রম নীতিমালায় বলা হয়েছে।

[১১] পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা, বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা করা যায়, আন্তর্জাতিক ট্যুর অপারেটরদের কীভাবে সমন্বয় করতে হবে তা বলা হয়েছে খসড়াতে। তাছাড়া সমুদ্র পথে যদি কেউ হজযাত্রীদের নিতে চায় সেটির ক্ষেত্রে সরকার কীভাবে সহযোগিতা করতে চায় তাও বলা হয়েছে এখানে।